'ভোটের আগে পাকিস্তানে আরও একবার হামলা চালাতে পারে মোদি সরকার '
আসন্ন ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে আরও একটি হামলা ভারত চালাতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আজ মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘সাধারণ নির্বাচন না শেষ হওয়া পর্যন্ত ভারত উত্তজেনা জিইয়ে রাখবে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় এক স্বাধীনতাকামীর হানায় ৪০ জন সিআরপিএফ সদস্যের মৃত্যুর পর ভারত-পাক যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওই হামলার দায় স্বীকার করে পাক মদতপুষ্ট স্বাধীনতাকামী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। পরিস্থিতি এমন হয় যে, ভারত যে কোনো সময় পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই ওই সময় ইমরান খান বিবৃতিতে বলেছিলেন, নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে উত্তেজনা বাড়িয়ে চলেছে নয়াদিল্লি। তবে ভারত হামলা চালালে পাকিস্তানও প্রত্যাঘাত করবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ইমরান।
পরবর্তীতে ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে ঢুকে ভারতীয় বিমান বাহিনী স্বাধীনতাকামীদের ঘাঁটিতে অভিযান চালায় বলে দাবি করে ভারত। বলা হয়, এক হাজার কেজি বোমা ফেলা হয়েছে। তার পরের দিন ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের আকাশে ঢুকে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তানের একাধিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমান নিয়ে সেই পাকিস্তানের এফ-১৬ ধাওয়া করে ডগফাইট হয় এবং পাকিস্তানি সেনার হাতে ধরা পড়েন ভারতীয় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। তার প্রায় ৬০ ঘণ্টা পর অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতের হাতে তুলে দেয় পাকিস্তান।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের খবর, এরপর থেকে পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের আবহ স্তিমিত হয়। কিন্তু ফের সেই ইস্যুকে খুঁচিয়ে তুললেন ইমরান। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দাবি, একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইমরান বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা এখনও কাটেনি। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশাসন ভোটের আগে আরও একটি ‘ভুল অভিযান’ চালাতে পারে।
ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, ‘ভুল অভিযান’ বলতে পাক প্রধানমন্ত্রী ২৬ জানুয়ারি বালাকোটের অভিযানের কথাই বলতে চেয়েছেন। কারণ ভারতীয় বিমান বাহিনীর অভিযানে পাকিস্তানের কোনো ক্ষতি হয়নি এবং অভিযান পুরোপুরি ব্যর্থ বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছে ইসলামাবাদ।ইমরান এদিন আরও বলেন, ‘‘বিপদ এখনও কাটেনি। ভারতের নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি উদ্বেগজনক থাকবে। তবে ভারতের দিক থেকে কোনও রকম আক্রমণ হলে আমরা পাল্টা প্রত্যাঘাতের জন্য প্রস্তুত আছি।’’
মোদি সরকার নির্বাচনে জিততেই পাক-ভারত তথা কাশ্মির সমস্যা জিয়িয়ে রেখেছেন। পাকিস্থানে হামলা করে তারা জনপ্রিয়তা অর্জনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.