পঞ্চপাণ্ডবের বিদায়ের পর ক্রিকেটের গুরুদায়িত্ব কারা নেবে?
মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ'র বিদায়ের পর, বাংলাদেশের ক্রিকেটের গুরুদায়িত্ব কারা নেবে? এ নিয়ে এখনই ভাবতে হবে বিসিবি'কে। সময় সংবাদে এমন পরামর্শের কথা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক কোচ গর্ডন গ্রিনিজ। এদিকে, ফলাফল যা'ই হোক আসন্ন বিশ্বকাপে লড়াই করবে টাইগাররা এমন প্রত্যাশাও তার।১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ের মধ্য দিয়ে যাদের কাঁধে চেপে বিশ্ব ক্রিকেটে ভিন্ন পরিচয়ে আবির্ভূত হয় বাংলাদেশ সেই দলটার অগ্রযাত্রার মাস্টার প্ল্যানার ছিলেন গর্ডন গ্রিনিজ। প্রায় দুই যুগের ব্যবধানে বদলেছে ক্রিকেটার বদলে গেছে সার্বিক চিত্র।
এখনকার দলটাকে কাছ থেকে না দেখলেও মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহদের সম্পর্কে ধারণা আছে। উন্নতি করতে থাকা দলটাকে নিয়ে একটা পর্যবেক্ষণ আছে বাংলাদেশের সাবেক কোচের। ব্রায়ান লারা, কোর্টনি ওয়ালশ, অ্যামব্রোস প্রজন্মের বিদায়ের পর উইন্ডিজ দল এখনো গুছিয়ে উঠতে পারেনি। সাঙ্গাকারা, জয়বর্ধনে, দিলশানদের অবসরের পর ধুকছে শ্রীলঙ্কাও। এমন অসংখ্য উদাহরণ আছে। তাই বাংলাদেশের এই বিগ ফাইভ পরবর্তী সময় নিয়ে এখনই বিসিবিকে ভাবার পরামর্শ দেন টাইগারদের সাবেক গুরু।গর্ডন গ্রিনিজ বলেন, 'দেখুন, প্রত্যেক ক্রিকেট খেলুড়ে দেশেরই দারুণ খেলতে থাকা একটা প্রজন্মের বিদায়ের পর গুছিয়ে উঠতে বেগ পেতে হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে, এটা নিয়ে এখন থেকেই ভাবুন। শূন্যস্থান পূরণে পাইপলাইনে পর্যাপ্ত খেলোয়াড়ের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।'
বিশ্বকাপের বছরে দল আর পরিকল্পনা সাজাতে সব দলের মতোই ব্যস্ত বাংলাদেশও। ইংল্যান্ডে টাইগারদের যাত্রাটা কেমন হতে পারে, এই প্রশ্নের ইতিবাচক উত্তরই মিলেছে গর্ডন গ্রিনিজের কাছে।তিনি আরো বলেন, 'ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সাকিবকে দেখেছি। গত বছর বাংলাদেশ দলের ক্যাম্পে আরো কয়েক জনের সঙ্গে দেখা হয়েছিলো। দলটা সম্পর্কে খুব একটা জানা নেই। তবে, আমি নিশ্চিত বিশ্ব আসরে তারা লড়াইয়ের মানসিকতা নিয়েই যাবে।'
উইন্ডিজের বর্তমান দল নিয়েও খোলামেলা কথা বলেছেন সাবেক কোচ। সম্প্রতি নিজেদের মাটিতে টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলেও, জেসন হোল্ডারদের নিয়ে খুব বেশিদূর ভাবতে চাননা তিনি। যদিও অনিশ্চয়তার ক্রিকেটে হতে পারে যেকোনো কিছু।গ্রিনিজ বলেন, 'উইন্ডিজের বর্তমান দল আর পারফরম্যান্স হয়তো পক্ষে কথা বলবেনা। ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। ১৯৮৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের কাছে আমাদের দল হেরে যাবে, এটা কেউই ভাবেনি। বিশ্বকাপের ধরনই এমন। যে দল নিয়ে কোনো সম্ভাবনাই নেই, দেখবেন তারাই চমকে দিচ্ছে।'
আধুনিক ক্রিকেটের সঙ্গে তাল মেলাতে নিজেদের কৌশলগত উন্নতির পাশাপাশি প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা আর দুর্বলতার দিকগুলো নিয়েও আলাদাভাবে পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন গর্ডন গ্রিনিজ।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.