দলিলসহ রোজার ছয় আদব
প্রতীকী ছবি
সবকিছুরই আদব রয়েছে। রোজারও আছে। রোজার আদব ছয়টি। মেহনত করে রোজার ছয়টি আদব অর্জন করতে পারলে মুত্তাকি হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলে জান্নাতুল ফিরদাউসে যাওয়ার পথ সহজ হয়ে যায়; যা রোজার অন্যতম উদ্দেশ্য। যার মধ্যে তাকওয়া আছে তাকে মুত্তাকি বলা হয়। তাকওয়া অর্থ মহান আল্লাহর ভয়ে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা।
রোজার ছয়টি আদব—
১. চোখকে গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে রাখা:
আল্লাহ সূরা নূরের ৩০-৩১ নম্বর আয়াতে পরপুরুষ ও পরনারী উভয়কে উভয়ের দিকে তাকাতে নিষেধ করেছেন এবং চোখ নিম্নগামী রাখতে হুকুম করেছেন। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুদৃষ্টিকারী ও যে কুদৃষ্টিতে পতিত হয় উভয়কেই লানত (অভিসম্পাত) করেছেন।
আল্লাহ সূরা নূরের ৩০-৩১ নম্বর আয়াতে পরপুরুষ ও পরনারী উভয়কে উভয়ের দিকে তাকাতে নিষেধ করেছেন এবং চোখ নিম্নগামী রাখতে হুকুম করেছেন। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুদৃষ্টিকারী ও যে কুদৃষ্টিতে পতিত হয় উভয়কেই লানত (অভিসম্পাত) করেছেন।
২. জবানকে গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে রাখা:
সূরা কাফের ১৮ নম্বর আয়াতে আছে, জবান থেকে যা বের হয় তা-ই সংরক্ষণকারী ফেরেশতা রেকর্ড করে নেয়। এজন্য জবানকে গিবত, শেকায়েত, অপবাদ, ঝগড়া-ফ্যাসাদ, গানবাদ্য, মিথ্যা কথাসহ সব ধরনের পাপাচার থেকে বাঁচিয়ে রাখা জরুরি।
সূরা কাফের ১৮ নম্বর আয়াতে আছে, জবান থেকে যা বের হয় তা-ই সংরক্ষণকারী ফেরেশতা রেকর্ড করে নেয়। এজন্য জবানকে গিবত, শেকায়েত, অপবাদ, ঝগড়া-ফ্যাসাদ, গানবাদ্য, মিথ্যা কথাসহ সব ধরনের পাপাচার থেকে বাঁচিয়ে রাখা জরুরি।
৩. কানকে গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে রাখা:
সূরা বনি ইসরাইলের ৩৬ নম্বর আয়াতে আছে, কান, চোখ, অন্তর প্রত্যেকেই তাদের সম্পর্কে কিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসিত হবে। মুখ থেকে গুনাহর যে বিষয়গুলো বের হয় তা কান দ্বারা শ্রবণ করাও গুনাহ।
সূরা বনি ইসরাইলের ৩৬ নম্বর আয়াতে আছে, কান, চোখ, অন্তর প্রত্যেকেই তাদের সম্পর্কে কিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসিত হবে। মুখ থেকে গুনাহর যে বিষয়গুলো বের হয় তা কান দ্বারা শ্রবণ করাও গুনাহ।
৪. শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে রাখা:
শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে রাখা অর্থাৎ হাত, পা, অন্তর, পেট, লজ্জাস্থানসহ প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব ধরনের গুনাহ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা। সূরা আনয়ামের ১২০ নম্বর আয়াতে আছে, তোমরা প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব ধরনের ঘৃণিত গুনাহ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখো।
শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে রাখা অর্থাৎ হাত, পা, অন্তর, পেট, লজ্জাস্থানসহ প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব ধরনের গুনাহ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা। সূরা আনয়ামের ১২০ নম্বর আয়াতে আছে, তোমরা প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব ধরনের ঘৃণিত গুনাহ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখো।
৫. ইফতারির সময় হালাল সম্পদ থেকে পরিমিত আহার করা:
ইফতারির সময় হালাল সম্পদ থেকে পরিমিত আহার করা কেননা, আল্লাহ সূরা মুমিনুনের ৫১ নম্বর আয়াতে পবিত্র বা হালাল সম্পদ থেকে আহার করতে আদেশ করেছেন আর সূরা বনি ইসরাইলের ২৭ নম্বর আয়াতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচ তথা অপচয় করতে নিষেধ করেছেন। তা ছাড়া পুরোপুরি পেট ভর্তি করে না খাওয়া কুপ্রবৃত্তি দমন ও তাকওয়া অর্জনে সহায়ক।
৬. রোজা রাখার পর এই ভয়ে ভীত হওয়া যে, হায় জানা নেই যে আমার এ রোজা কবুল হচ্ছে কিনা। পাশাপাশি আশাও রাখা। কেননা, ভয় ও আশা এরই মাঝে ইমানের বাসা। মহান আল্লাহ তাঁকে ভয় ও আশা নিয়ে ডাকতে বলেছেন। আল্লাহ আমাদের ইখলাসের সঙ্গে রোজার ছয়টি আদব পালন করে পরিপূর্ণ মুত্তাকি হয়ে জান্নাতুল ফিরদাউসে যাওয়ার তাওফিক দান করুন।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.