এক ক্ষেপণাস্ত্রেই ধ্বংস হবে মার্কিন রণতরী: ইরানি ধর্মীয় নেতা
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবহর একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেই ধ্বংস করে দেয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ইরানের এক শীর্ষ ধর্মীয় নেতা। শুক্রবার জুমার খুতবার সময় তিনি এমন মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন রণতরী আব্রাহাম লিংকন মোতায়েন করেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। ইরানের কাছ থেকে আসা হুমকির জবাবে এ রণতরী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।আব্রাহাম লিংকনের প্রতি ইঙ্গিত করে ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ ইউসুফ তাবাতাবেই নেজাদ বলেন, কোটি কোটি ডলারের রণতরী একটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েই ধ্বংস করে দেয়া যাবে।
এদিকে ইরানের হুমকির জবাবে কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে বি-৫২ স্ট্রাটোফোরট্রেস বোমারু বিমান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।দেশটির সামরিক বাহিনী বুধবার জানিয়েছে, অতিরিক্ত শক্তি হিসেবে বেশ কয়েকটি বি-৫২ বোমারু বিমান মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানো হয়েছে। সেখানে মার্কিন বাহিনীকে দেয়া ইরানের হুমকির জবাবে এসব পাঠানো হয়েছে বলে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে।তবে রণতরীসহ যুক্তরাষ্ট্রের এই বোমারু বিমানের মোতায়েনকে পুরনো খবর বলে উড়িয়ে দিয়েছে ইরান। এটাকে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের মাধ্যমে ভয় পাইয়ে দেয়ার কৌশল হিসেবে আখ্যায়িত করেছে দেশটি।ইতিমধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও কঠোর করেছে ওয়াশিংটন। গত মাসে উপসাগরীয় অঞ্চলে আরেকটি রণতরীর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে ইউএসএস আব্রাহাম লিংকনকে।
আল উদায়েদ বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন বিমান বাহিনীর এক কর্মকর্তা একটি ছবি তুলে কেন্দ্রীয় কমান্ডের ওয়েবসাইটে পোস্ট করেছেন।ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, বি-৫২ বোমারু বিমান এসেছে। ২০১৯ সালের ৪ মে ফ্লাইট লাইনে পার্ক করা ২০তম এক্সপেডিশনারি বোম্ব স্কোয়াড্রনে ইউএস বি-৫২এইচ স্ট্রাটোফোরট্রেস বিমান মোতায়েন করতে বলা হয়েছে।তবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দোহার কাছাকাছি আল উদায়েদের গণমাধ্যম কর্মকর্তা কোনো সাড়া দেননি। মধ্যপ্রাচ্য ও আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক অভিযানের দায়দায়িত্ব কেন্দ্রীয় কমান্ডের।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.