ইরানকে ঠেকাতে' ইউরোপীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে ব্রিটেন
উপসাগরীয় অঞ্চলে ব্রিটেনের একটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার আটকের ঘটনায় নাটকীয় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ইরানের সঙ্গে সৃষ্ট এই উত্তেজনার মাঝে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য উপসাগরীয় অঞ্চলে ইউরোপীয় সুরক্ষা বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট ওই তেলবাহী ট্যাঙ্কার আটকের ঘটনাকে ইরানের ‘রাষ্ট্রীয় দস্যুপনা’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে ব্রিটেন ইরানের সঙ্গে সংঘাত চায় না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
জেরেমি হান্ট বলেন, ‘আমরা যত দ্রুত সম্ভব এই মিশন প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করবো।’
উপসাগরীয় অঞ্চলে ব্রিটেনের পাঠানো দ্বিতীয় আরেকটি যুদ্ধজাহাজ আগামী ২৯ জুলাই পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইরানের গত কয়েক মাসের চলমান তীব্র উত্তেজনার মাঝে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী শুক্রবার কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালী থেকে ব্রিটেনের তেলবাহী ট্যাঙ্কার ‘স্টেনা ইম্পারো’ আটক করে।
সিরিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের দায়ে জিব্রাল্টার প্রণালীর কাছ থেকে ইরানের একটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার ব্রিটেন আটক করে। এ ঘটনার দুই সপ্তাহ পর তেহরান ব্রিটিশ ট্যাঙ্কার আটক করে।
সোমবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাবেদ জারিফ বলেছেন, তার দেশ ব্রিটেনের সঙ্গে কোনো ধরনের সংঘাতে জড়াতে চায় না। ব্রিটেনের হবু প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উদ্দেশ্যে তিনি এই বার্তা দেন।
নিকারাগুয়া সফররত ইরানি এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বরিস জনসন ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে প্রবেশ করতে যাচ্ছে; এ জন্যই এটা তার উপলব্ধি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, ইরান সংঘাত চায় না। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের জায়গা থেকে স্বাভাবিক সম্পর্ক রক্ষা করতে চায় ইরান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য ব্রিটেন দ্বন্দ্বে নেমেছে বলে মন্তব্য করেন জারিফ।
সূত্র : এএফপি।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.