ভারতে ১৬ মে’ও পর উধাও হবে করোনা : গবেষণা!
আগামী ১৬ মে’র পর ভারত থেকে উধাও হবে করোনাভাইরাস। শুক্রবার নীতি আয়োগের সদস্য ও মেডিকেল ব্যবস্থাপনার সরকারি কমিটির প্রধান ভিকে পল এক গবেষণায় এ তথ্য দিয়েছেন। ওই গবেষণায় পরামর্শ দেয়া হয়েছে যে, একমাত্র লকডাউনই পারে করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমাতে। ভারতে দ্বিতীয় মেয়াদে লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। এটি ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানোরও পরামর্শ দেয়া হয়েছে ওই গবেষণায়।
গবেষণায় বলা হয়, ৩ মে থেকে ভারতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ সময় থেকে দৈনিক দেড় হাজারের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হবে। ১২ মে’র মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দৈনিক এক হাজারে নেমে আসবে এবং ১৬ মের পর আক্রান্ত শূন্যে নেমে যাবে। এর মানে হল, শনিবার থেকে মে মাসের প্রথম ১৫ দিনের মধ্যে ভারতে নতুন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হবে ৩৫ হাজার। স্বাধীন বিশেষজ্ঞ ও ওই কমিটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য বলেন, আক্রান্তের এ সংখ্যা সর্বোচ্চ। তবে জাতীয়ভাবে সংক্রমণ কমলেও আরও পরবর্তী দুই সপ্তাহ গুজরাট, মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত সংখ্যা বাড়তে পারে।
ভারতীয় পত্রিকা দ্য হিন্দুকে ওই সদস্য আরও বলেন, সংক্রমণ কমার বিষয়ে কোনো প্রমাণ নেই। এই পূর্বাভাসের কোনো ভিত্তি নেই। আমরা আরও সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনা করছি। ভেন্টিলেটর, বেড, আইসিইউ সুবিধা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি। ‘ভারতে কোভিড-১৯ টেস্ট সক্ষমতা বৃদ্ধির কৌশলগত পরিকল্পনা’ শীর্ষক গবেষণার সহকারী লেখক ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) শাখা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইপিডেমিওলজির বিজ্ঞানীরা। ভারতের ১৬ মে’র পর কীভাবে করোনা উধাও হবে সে বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে ডা. পলের কাছে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সদস্য বলেন, আক্রান্ত হ্রাস পাওয়া অসম্ভব। পশ্চিমবঙ্গ ও গুজরাট এখন সবে আক্রান্ত বাড়ছে।
এমনকি পশ্চিমবঙ্গে বহু গোপনে আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে। গত সপ্তাহে আইসিএমআর প্রকাশিত গবেষণায় দেখানো হয়েছে কীভাবে ভারত এপ্রিলের পর করোনা টেস্টের বিষয়ে কী পরিকল্পনা নিয়েছে। সেখানে মে মাসের জন্য ২১ লাখ ও জুনের জন্য ২৮ লাখ পরীক্ষা কিট প্রস্তুত রাখার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। একটি টেস্ট কিট দিয়ে একজন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা যায়। বর্তমানে আইসিএমআরের ২০০টি ল্যাবে দৈনিক ৪০ হাজার মানুষের পরীক্ষা করা হচ্ছে। এদিকে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বাংকার ব্যবসায় ঝুঁকছেন আবাসন ব্যবসায়ীরা। বানাচ্ছেন শত শত বাংকার। ইতোমধ্যে বেশকিছু বিলাসবহুল ‘বাংকার হোম’ তৈরি হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশ নিউজিল্যান্ডে। ভাইরাস থেকে বাঁচতে ও নিরাপদে বাস করতে এসব বাংকারে ছুটছেন মার্কিন কোটিপতিরা।
করোনা মহামারী যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে বাংকার হোমের চাহিদা। শুধু নিউজিল্যান্ডেই নয়, এমন বাংকার হোম তৈরি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতেও। খবর ব্ল–মবার্গ, বিজনেস ইনসাইডার ও ফক্স নিউজ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্ট চার্চ রাজ্যের উত্তরে ইতোমধ্যে অন্তত শ’তিনেক বাংকার হোম বানিয়েছে আন্তর্জাতিক আবাসন কোম্পানি ভিভোস। গোটা দশেক বাংকার হোম বানানোর পর ব্যাপক সাড়া পাওয়ায় আরও কয়েকশ’ বানানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে রাইজিং এস নামের আরেকটি কোম্পানি। বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সর্বশেষ তথ্যমতে, শনাক্তের সংখ্যা ৯ লাখ ছাড়িয়েছে।
মৃতের সংখ্যাও অর্ধলক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। মহামারীর বিপর্যস্ত মার্কিন ধনীদের কাছে স্বর্গরাজ্যের চেহারায় ধরা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের নিউজিল্যান্ড। ত্বরিত ও কার্যকর সব পদক্ষেপের মাধ্যমে করোনা মহামারীকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে দেশটি। আর তাই নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সবুজ-শ্যামল এই দেশটিকে বেছে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ধনী ব্যক্তিরা প্রস্তুত রেখেছিলেন ঝা-চকচকে বাংকার।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.