সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা কী?


    ফার্মের ডিমের তুলনায় দেশি মুরগীর ডিম অনেক বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। দেশি মরগীর ডিমেরে বৈশিষ্ট্য হলো এটি প্রাকৃতিক ভাবে উৎপাদিত। যাতে ক্ষতিকর কোন চর্বি থাকেনা। দেশি মুরগীর ডিমের নানাবিধ উপকারিতা রয়েছে। যেমন-  
    > এই ডিমে আছে প্রচুর পরিমানে কলিন যা নিউরোট্র্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে আমাদের দেহকে সুস্থ রাখে।  
    > এতে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ডি যা আমাদের দেহের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে থাকে এবং ডিমে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের উপস্থিতি অস্টিওপরোসিস বন্ধ রাখে এবং দেহের হাড় মজবুত কর৫তে সাহায্য করে।  
    > এতে আছে সালফার সমৃদ্ধ অ্যামিনো অ্যাসিড যা আমাদের হাতের নখের স্বাস্থ্যই শুধু উন্নত করেনা আমাদের চুলের স্বাস্থ্য মজবুত করে ও আকর্ষণীয় করে তুলে।  
    > এই ডিমে উপস্থিত লুটিন ও যেক্সানথিন আমাদের চোখের সুস্থ দৃষ্টি বজায় রাখতে সাহায্য করে।  > এটি স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে থাকে।  
    > দেশি মুরগীর ডিম সহজে হজম হয় এবং প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ যথাযথ থাকে।  সহজলভ্য পুষ্টির উৎস হিসেবে ডিমের তুলনা ডিম নিজেই। 

    ডিম খাওয়া শরীর ও সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। দেশি মুরগির খাওয়া তো আরও বেশি উপকারী। কিন্তু আপনি যদি ভেবে থাকেন ডিমের পুষ্টিগুণ কেবল আপনার শরীরে প্রবেশ করবে, তা কিন্তু নয়। রূপচর্চার অন্যতম উপাদান হল ডিম। ত্বক ও চুলের যত্নেও ডিমের ব্যবহার এনে দিতে পারে জেল্লা। আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের জানাবো ডিমের উপকারিতা, ত্বক এবং চুলের কোমলতা ও সুন্দরতা বাড়ানোর জন্য ডিমের কয়েকটি ফেসপ্যাক, ফেস মাস্ক ও অন্যান্য কিছু জরুরি তথ্য।

    ১। একটি ডিম ভালো করে ফেটিয়ে তার মধ্যে দুই চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এরপর সারা মুখে এই ফেসপ্যাকটি লাগিয়ে নিন। সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জলে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন। এটি একটি অ্যান্টি এজিং প্যাক। এতে ত্বক টানটান হবে। প্রত্যেক মাসে একবার এই প্যাক আপনি ব্যবহার করতে পারেন।

    ২। ডিমের সাদা অংশ ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে। তৈলাক্ত ত্বকে পিম্পল, ব্রণ, ফুসকুড়ি, ব্ল্যাক হেডস, কালচে দাগ-ছোপ ইত্যাদি নানা সমস্যা লেগেই থাকে। ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করলে অত্যধিক তৈলাক্ত ত্বকের এই ধরণের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যেতে পারে। একটি ডিমের পুরো সাদা অংশ ভালো করে ফেটে তাতে আধা চামচ ময়দা ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণটি লাগিয়ে রেখে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে তেলমুক্ত,কোমল ও মসৃণ।

    ৩। একটি পাত্রে ১ টি ডিম, ১ টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর চুলে আর স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর মাইল্ড কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই হেয়ার মাস্ক আপনার চুল আর স্ক্যাল্পের শুষ্কতা দূর করবে আর রাখবে মোলায়েম।

    ৪। যাদের চুল ভীষণ পাতলা হয়, তারা চুলের ঘনত্ব বাড়ানোর জন্য এই হেয়ার মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন - একটি পুরো ডিম ভালোভাবে ফেটিয়ে নিয়ে তাতে ১ টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস, ২ টেবিল চামচ মধু ও ২ টেবিল চামচ টক দই ভালো ভাবে মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর পুরো চুলে ও স্ক্যাল্পে পেস্টটি লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। ভালো রেজাল্টের জন্য মাসে অন্তত একবার এই পেস্টটি লাগাতে হবে।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !