দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা কী?
১। একটি ডিম ভালো করে ফেটিয়ে তার মধ্যে দুই চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এরপর সারা মুখে এই ফেসপ্যাকটি লাগিয়ে নিন। সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জলে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন। এটি একটি অ্যান্টি এজিং প্যাক। এতে ত্বক টানটান হবে। প্রত্যেক মাসে একবার এই প্যাক আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
২। ডিমের সাদা অংশ ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে। তৈলাক্ত ত্বকে পিম্পল, ব্রণ, ফুসকুড়ি, ব্ল্যাক হেডস, কালচে দাগ-ছোপ ইত্যাদি নানা সমস্যা লেগেই থাকে। ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করলে অত্যধিক তৈলাক্ত ত্বকের এই ধরণের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যেতে পারে। একটি ডিমের পুরো সাদা অংশ ভালো করে ফেটে তাতে আধা চামচ ময়দা ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণটি লাগিয়ে রেখে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে তেলমুক্ত,কোমল ও মসৃণ।
৩। একটি পাত্রে ১ টি ডিম, ১ টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর চুলে আর স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর মাইল্ড কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই হেয়ার মাস্ক আপনার চুল আর স্ক্যাল্পের শুষ্কতা দূর করবে আর রাখবে মোলায়েম।
৪। যাদের চুল ভীষণ পাতলা হয়, তারা চুলের ঘনত্ব বাড়ানোর জন্য এই হেয়ার মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন - একটি পুরো ডিম ভালোভাবে ফেটিয়ে নিয়ে তাতে ১ টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস, ২ টেবিল চামচ মধু ও ২ টেবিল চামচ টক দই ভালো ভাবে মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর পুরো চুলে ও স্ক্যাল্পে পেস্টটি লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। ভালো রেজাল্টের জন্য মাসে অন্তত একবার এই পেস্টটি লাগাতে হবে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.