চীনা বাহিনীর ‘মোকাবেলায়’ আসছে মার্কিন সেনা!
গলওয়ান উপত্যকায় চীনা বাহিনীর হামলায় ভারতের সেনা হতাহতের ঘটনাকে ভালো চোখে দেখছে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সম্প্রতি চীনের এমন ‘আগ্রাসনের’ জবাবে আমেরিকা ভারতের পাশে থাকতে চায় বলে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের মতো এশীয় দেশগুলোর ওপর যেভাবে রণংদেহী মনোভাব নিয়েছে চীন তা যথেষ্টই উদ্বেগের।
বৃহস্পতিবার ব্রাসেলস ফোরামের ভার্চুয়াল সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের আগ্রাসনের কারণেই ইউরোপ থেকে মার্কিন সেনার সংখ্যা কমানো হচ্ছে।
জার্মানির দিকে মার্কিন সেনা সংখ্যা কমিয়ে দেয়ার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে পম্পেও বলেন, বর্তমানে যেখানে বেশি প্রয়োজন সেখানেই সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সমালোচনা করে তিনি বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পদক্ষেপ শুধু ভারতের জন্য হুমকি নয়।
ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইনও চীনের হুমকির মুখে। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের তৎপরতা নিয়েও ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র। পম্পেওর ভাষ্য, ‘বর্তমান সময়ের এই চ্যালেঞ্জ’ এর মোকাবেলা করতেই মার্কিন সেনাকে জার্মানি থেকে সেরিয়ে আনা হচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা পিএলএ-কে (চীনের পিপল’স লিবারেশন আর্মি) মোকাবেলা করার জন্যে যথাযথভাবে মার্কিন সেনা নিয়োগ করব। আমরা মনে করি, এটা আমাদের সময়ের চ্যালেঞ্জ।
গত সপ্তাহেও মাইক পম্পেও চীনের সেনাবাহিনীর সমালোচনা করেছিলেন। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা বাড়ানো এবং কৌশলগতভাবে দক্ষিণ চীন সাগরের সামরিকীকরণের জন্যে চিনাবাহিনীর নিন্দা করেন তিনি। গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় চীনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কর্নেল-মেজরসহ ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান। আহত হন আরও ৭৬ জন ভারতীয় সেনা।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.