একনজরে প্রণব মুখার্জির বর্ণিল জীবন!
প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১১ ডিসেম্বর ১৯৩৫ অধুনা পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার কীর্ণাহার শহরের নিকটস্থ মিরাটি গ্রামে। তার পিতার নাম কামদাকিঙ্কর মুখোপাধ্যায় ও মাতার নাম রাজলক্ষ্মী দেবী। প্রণবের বাবা বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী কামদাকিঙ্কর মুখোপাধ্যায় ১৯২০ সাল থেকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
ব্রিটিশ শাসনকালে তিনি দশ বছর কারারুদ্ধ ছিলেন। পরে কামদাকিঙ্কর অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধান পরিষদের সদস্য (১৯৫২-৬৪) হন।
প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সক্রিয় রাজনীতিতে যাত্রা শুরু ১৯৬৯ সালে৷ এ বছরই প্রথম বার কংগ্রেস দলের প্রতিনিধিস্বরূপ রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন।
এরপর ১৯৭৫, ১৯৮১, ১৯৯৩ ও ১৯৯৯ সালেও তিনি রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭৩ সালে কেন্দ্রীয় শিল্পোন্নয়ন উপমন্ত্রী হিসেবে তিনি প্রথম ক্যাবিনেটে যোগদান করেন।
প্রণব মুখোপাধ্যায় ভারতীয় রাজনীতির অনেক উত্থান-পতনের সাক্ষী৷ ইন্দিরা গান্ধী বড় প্রিয় পাত্র ছিলেন তিনি৷ তবে ইন্দিরা গান্ধীর প্রয়াণের পরে রাজনীতির অন্দরে টালমাটাল পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে চলে এসেছিলেন তিনি৷ রাজীব গান্ধী তাকে নিজের ক্যাবিনেটে স্থান দেননি।
তবে ১৯৯১ সালে রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর পি. ভি. নরসিমা রাওয়ের সময়কালে পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন৷ রাজনৈতিক কর্মজীবনের পুনরুজ্জীবন ঘটে। ১৯৯৫-৯৬ সালে তিনি রাওয়ের মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ সংসদ সদস্য পুরস্কারে ভূষিত হন।
প্রণব মুখোপাধ্যায় তার রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন সময়ে প্রতিরক্ষা, অর্থ, পররাষষ্ট্র, রাজস্ব, জাহাজ-চলাচল, পরিবহন, যোগাযোগ এবং শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
গত ৯ আগস্ট রাতে দিল্লির বাড়িতে বাথরুমে পড়ে গুরুতর আহত হন প্রণব মুখার্জি।পর দিন সকাল থেকে তার স্নায়ুতে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।১৩ আগস্ট থেকে তিনি গভীর কোমায় চলে যান।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.