মাছ চাষের সব চেয়ে সহজ পদ্ধতি হল সিমফ্লক (Simfloc)
বাংলাদেশে নতুন করে মাছ চাষের এক বৈপ্লব শুরু হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের বেকার যুবক-যবতীরা নতুন এই বৈপ্লবিক মাছ চাষে যোগদান করেছেন। আমাদের দেশে এই মাছ চাষের নতুন বৈপ্লবিক সাফল্যর দুয়ার খুলে গেছে বায়োফ্লক নামের নতুন মাছ চাষ প্রযুক্তির মাধ্যমে। আমাদের দেশে বায়োফ্লক নামে যে মাছ চাষ করা হয় তা সাধারণত চার প্রকার -
১. পিওর বায়োফ্লক
২. বটোম ক্লিন বায়োফ্লক
৩. ওয়াটার চেঞ্জ বায়োফ্লক বা আলা’স পদ্ধতি
৪. সিমফ্লক বা সহজতম বায়োফ্লক
১. পিওর বায়োফ্লকঃ বায়োফ্লক মূলত একটি বিশেষ বৈজ্ঞানিক মাছ চাষের পদ্ধতি। যেখানে অল্প জায়গা ও পানিতে প্রচুর মাছ ব্যাকটেরিয়া কালচারের মাধ্যমে করা হয়। এ পদ্ধতিতে কোন প্রকার পানি পরিবর্তন করা হয় না। খাবার, লবণ, চিটাগুড়, চুন, প্রো-বায়োটিক প্রভৃতির মাধ্যমে পানি TDS ও PH কন্টোল করা হয়। এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ কেবল অভিজ্ঞ চাষিদের জন্যই লাভ জনক।
২. বটোম ক্লিন বায়োফ্লকঃ সপ্তাহের কয়েক দিন বায়োফ্লকের ট্যাংকের নিচে জমা হওয়া মাছের মল পানির সাথে ফেলে দিয়ে নতুন পানি, লবণ, চুন, গুড়, প্রো-বায়োটিক ট্যাংকে দিয়ে যে পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা হয় তাকে বটম ক্লিন বায়োফ্লক বলে। এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ তুলনা মুলক পিওর বায়োফ্লক থেকে সহজ। তবে পানির TDS ও PH কন্টোল করা জানতে হয়।
৩. ওয়াটার চেঞ্জ বায়োফ্লক বা আলা’স পদ্ধতিঃ প্রতি দিন বায়োফ্লক ট্যাংকের পানি ০৫-১০ মিনিট বটম ক্লিন পদ্ধতির মত ছেড়ে নতুন পানি যোগ করা হয় এটাই হল মূলত ওয়াটার চেঞ্জ বায়োফ্লক বা আলা’স পদ্ধতিতে মাছ চাষ। কেউ কেউ লবণ পানিতে আবার কেউ ফেশ পানি বা টিউবওয়েলের পানিতে মাছ চাষ করে থাকে। এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ অনেক সহজ ও সুন্দর। তবে পানির ও খাবারের অপচয় বেশি।
৪. সিমফ্লক বা সহজতম বায়োফ্লকঃ সিমফ্লক মানেই হল সিম্পল বায়োফ্লক বা সহজতর বায়োফ্লক। সবচেয়ে সহজ ও সবচেয়ে লাভজনক তথা সবচেয়ে সোজা বায়োফ্লক পদ্ধতি হল সিমফ্লক (Simfloc)। বাংলাদেশে সিমফ্লকের জনক ইঞ্জিঃ মোঃ আল মেরাজ মোল্লা। এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ খবুই সহজ ও লাভজনক। কারণ এ পদ্ধতিতে প্রো-বায়োটিক ব্যবহার হলেও ফ্লক তৈরি হওয়া না হওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।
নিচে এ চাষ পদ্ধতির কিছু বৈশিষ্ট তুলে ধরা হলঃ
ক. লোনা বা লবণাক্ত পানিতে মাছ চাষ তাই মাছের স্বাদ বেশি।
খ. অটো টপিক ব্যাক্টেরিয়ার মাধ্যমে মাছ চাষ।
গ. হেটারোটপিক ব্যাক্টেরিয়ার মাধ্যমে মাছ চাষ।
ঘ. খাদ্য খরচ কম ।
ঙ. মিশ্র চাষ পদ্ধতি তাই লাভ বেশি।
চ. লবণ, চিনি বা গুড়, প্রো-বায়োটিক এর পরিমাণ কম লাগে।
ছ. ইনডোর বা আউটডোর দু স্থানেই চাষ করা যায়।
জ. সাথে রঙিন মাছ বা সৌখিন মাছও চাষ করা যায়।
ঝ. তলানী বজ্য নিয়ে তেমন চিন্তা করতে হয় না।
ঞ. পিএইচ, টিডিএইচ নিয়ে তেমন চিন্তার করতে হয় না।
ট. পানি তুলনা মূলক সচ্ছ তাই মাছের রোগ বালাই ও মৃত্যুর হার কম।
ঠ. সহজ বলে সবাই এ পদ্ধতিতে চাষ করতে পারে।
ড. ফ্লক তৈরির ঝামেলা কম তাই কম অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়।
ঢ. সহজ তাই কম পুঁজি বা বিনিয়োগে শুরু করা যায় ।
ণ. কম বিদ্যুৎ খরচ হয়।
আরোও বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুনঃ 01611-393307
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.