জীবনের শেষ তাফসীরে যা বলেছিলেন আল্লামা শামসুল ইসলাম!
দেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী কওমি মাদ্রাসা আল-জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার শাইখুল হাদীস আল্লামা শামসুল ইসলাম গত ৮ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেছেন।
তিনি তাফসীর মাহফিলের আলোচক হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন। মাওলানা শামসুল ইসলাম সাহেব চেয়েছেলিন কিশোরগঞ্জে খতমে কুরআনের আন্তর্জাতিক তাফসীর আয়োজন করার। কিন্তু মাত্র কয়েক মাসের জন্য সেটি আর শেষ হয়নি।
সূরা আলাকের তাফসীরের মাধ্যমেই তিনি গত ৯ জানুয়ারি তার জীবনের শেষ তাফসীরটি করে ফেলেন। এরপরই তিনি অসুস্থ হন। একপর্যায়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। সর্বশেষ তিনি বিএসএমএমইউ (সাবেক পিজি) হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওই তাফসীর মাহফিলে তিনি সূরা আলাকের বিষয়ে আলোচনা করেন।
কী ছিল জীবনের শেষ তাফসীরে?
মাওলানা শামসুল ইসলাম ওই দিনের শেষ তাফসীরে আলোচনা করেন পবিত্র কুরআনের বিন্যাসের বিষয়ে। বলেন, সূরা আলাকের প্রথম ৫ আয়াতের মধ্যে ওহির বর্ণনা ছিল। ইক্বরা বিসমি রাব্বিকাল্লাযি....প্রথমে নাযিল হয়। ৬ নম্বর আয়াত থেকে শেষ পর্যন্ত নাযিল হয়েছে অনেক পরে। কিন্তু প্রথম ওহির সঙ্গে পরবর্তী আয়াতগুলোকে সংযুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আর কোরআনের আয়াতের বিন্যাস আল্লাহর হুকুমে নবী করিম (স) এর পক্ষ থেকে বরং হযরতে জিব্রাইল আ.এর মাধ্যমেই হয়েছে।
কারণ নবী করিম (স) এবং জিবরাইল আ. এর মধ্যে কুরআনের দওর চলতো। দওর মানে একজন আরেকজনকে শুনাতেন প্রতি রমজানে। এগুলো আল্লাহর হুকুমে ছিল। কোন সূরার পর কোন সূরা আসবে সেটাও আল্লাহর তায়ালার পক্ষ থেকে নির্ধারিত। দেখুন সূরা ফাতিহা সর্বপ্রথমে রাখা হয়েছে। কিন্তু (অনেকে মনে করতে পারেন) সূরা ইক্বরা প্রথমে রাখার দরকার ছিল। যেহেতু সর্বপ্রথম নাজিল হয়েছে। এরপরে সূরা বাক্বারা এভাবে হয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে হয়েছে। এর মধ্যে অনেক অনেক রহস্য আছে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.