বাংলাদেশের আইন, বাল্য বিবাহ ও আমাদের সমাজ ব্যবস্থা!
আমার সোনা বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি। নিশ্চয়ই মনে আছে এটা কি? আমাদের জাতীয় সংঙ্গীত।আর আমাদের প্রাণ প্রিয় বাংলাদেশে ৯০% মানুষ মুসলমান। নিজেদের কে আমরা বাঙালিরা বেশ ধর্মপ্রাণ বলে মনে করে থাকি। আমরা কথায় কাথায় বলি, নামাজ না পাড়লে কি হবে আমার ইমান খুব শক্ত। আর এই শক্ত ইমানসহ সকল বাঙালি মুসলমানদের বলতে চাই, আপনি কি জানেন নবী করিম (সঃ) এর খাস সুন্নতের একটি হল বাল্য বিবাহ করা বা করানো।
উম্মুল মু'মিনিন আম্মাজান আয়শা (রাঃ) এর বিবাহ হয় নবী করিম মুহাম্মদ (সা.) এর সাথে যখন তার বযস ছিল মাত্র ছয় বছর।এরপর নয় বছর মতান্তরে দশ বছর বয়স থেকে তার বৈবাহিক জীবন শুরু হয়। এর পূর্বে তিনি তার বিবাহ পরবর্তী সময় তার পিত্রালয়েই শিশুবৎসলভাবে অতিবাহিত করেন।সূত্র- wikipedia.org
তাহলে আমার প্রশ্ন-
১. কেন ৯০% মুসলমানের দেশে বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ?
২. কেন ৯০% মুসলমানের দেশে নবী করিম (সাঃ) খাস সুন্নত পালনে বাধা?
৩. এটা কি বাংলাদেশ, না কুসংস্কারাচ্ছন্ন ভারত? (কারণ, ভারতে পরকিয়া ও সমকামিতার নোংরামী বৈধ)
৪. কেন ইহুদি, খ্রীষ্টানদের বানানো নীতি আমাদের উপর চাপানো হচ্ছে?
৫. তাহলে কোথায় আমাদের ধর্ম পালনের স্বাধীনতা? হিন্দুর-খ্রিষ্টানের ধর্ম পালনের স্বাধীনতা আছে, মুসলমানদের নেই কেন?
বিঃদ্রঃ আমি বাল্য বিবাহের পক্ষে কারণ এটি খাস সুন্নত, তবে ১৬-১৮ বছরের আগে মেয়েদের মা না হওয়ার পক্ষপাতি। উল্লেখ্য যে, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর বা কিশোরগঞ্জের মেয়েদের বিয়ে ১০- ১২ বছর বয়সে হয় এবং তারা ১৩-১৪ বছরেই প্রথম সন্তান জন্ম দেয় যা সবাই জানে ও সর্বজন স্বীকৃত একটা প্রথা। তাই বলবো, বাল্য বিবাহ নয়, যৌতুক ও নারীর প্রতি সহিংহতার বিরুদ্ধে কথা বলুন।
বাল্য বিবাহ নবী করিম (সঃ) খাস সুন্নতের অন্যতম। বাল্য বিবাহ হলে কমবে-
১. ইভটিচিং ও অপহরণ কমবে
২. ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি কমবে।
৩. বেকারত্ব কমবে। (বিবাহ করলে আল্লাহ রিযিকের ব্যবস্থা করার ওয়াদা কোরআনে করেছেন)
৪. পারিবারিক কলহ কমবে। ( এতিম ও সৎ মেয়ে থাকলে)
৫. পরকিয়া প্রেম কমবে।
৬. প্রেমে প্রতারণা ও প্রেমে প্রতারিত হয়ে আত্মহত্যা কমবে।
৭. এসিড নিক্ষেপ ও সহিংসতা কমবে।
৮. HIV, গনেরিয়া, হেপাটাইটিস বি সহ যৌন রোগের বিস্তার হবে না।
বাল্য বিবাহে সৃষ্ট সমস্যা ও তা সমাধান -
১. অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশু (সচেতনতা বাড়িয়ে ১৬ বছরের পরে সন্তান নিলেই হবে)
২. শিশু জন্মকালে মাতৃ মৃত্যু (সচেতনতা বাড়িয়ে ১৬ বছরের পরে সন্তান নিলেই হবে)
৩. অশিক্ষা (১৬-১৮ বছরে মা হলে তার আগ পর্যন্ত ও শিশু জন্মের পরেও পড়া লেখা করতে পারে)
৪. জন সংখ্যা বৃদ্ধি (সচেতনতা বাড়িয়ে ১৬ বছরের পরে সন্তান নিলেই হবে)
৫. গরীবের হার বৃদ্ধি (বিবাহ করলে আল্লাহ রিযিকের ব্যবস্থা করার ওয়াদা কোরআনে করেছেন)
৬. যৌতুক (বাল্য বিবাহে নয় যৌতুককে কঠোর হস্তে আইন ও সচেতনতার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে )
তাই বলা যায়, এটাই উপযুক্ত সময় ও সময়োপযুগী পদক্ষেপ হবে যে, আইন সংশোধন করে বাল্য বিবাহকে আইনত বৈধ করা উচিৎ। তবে-
১. বাল্য বিবাহ হলেও সচেতনতা বাড়িয়ে ১৬ বছরের পরে সন্তান না নিতে উৎসাহিত করতে হবে।
২. যৌতুকে ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রনোয়নের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৩. বিয়ের পরেও মেয়েদের পড়া-লেখা চালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. চাকুরির ক্ষেত্রে বিবাহিত দের অগ্রাধিকার প্রদান করা যেতে পাবে।
৫. নতুন নতুন চাকুরির ক্ষেত্র তৈরী করতে হবে।
৬. যাকাত প্রদানে উৎসাহিত করে সরকারী ভাবে সংগ্রহ করে গরীবদের দারিদ্র মোচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
"চলুন বাল্য বিবাহকে নয় আমাদের অজ্ঞতা , কুসংস্কার ও যৌতুককে না বলি"
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.