তাহলে কী সত্যি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে গ্রামীন নীটওয়্যার লিঃ?
গত ২৮ নভেম্বর ২০১৮ তে সাবেক এমডি কাজী মঞ্জুরুল ইসলামকে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার চরম ব্যর্থতা কারণে Grameen Knitwear Ltd. (GKL) এর ৭৬তম বোর্ড সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয় এবং এ পদে প্রাপ্য সকল সুযোগ-সুবিধা বাতিল করা হয়। তাছাড়া সকল হিসাব কাজী মঞ্জুরুল ইসলামকে গ্রামীন নীট ওয়্যার লিঃ এর এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে রিপোট করতে বলা হয়। গোপন সূত্র বলছে যে, প্রায় ২৫০ কোটি টাকার দূর্নীতির দায়ে সাবেক এমডি কাজী মঞ্জুরুল ইসলামকে পদচ্যুত করা হয়।
তারপর নতুন ডিএমডি, এজিএম, পিএম, একাউন্ট ম্যানেজার, কমার্শিয়াল ম্যানেজার নিয়োগ দেওয়া হয়।কিন্তু সূত্র মতে গত ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে এ পর্যন্ত গ্রামীন নীট ওয়্যার লিঃ এর নামে নতুন কোন অর্ডার নেয়া হয় নি। তাছাড়া নতুন সব গ্রামীন ফ্যাশনের নামে নেয়া হচ্ছে। পুরনো অর্ডার গুলোকে ক্লোজ করতে দ্রুত তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
লোক মুখে কিছু গুজবও শোনা যাচ্ছে যে, গ্রামীন নীটওয়্যান নাকি ২০ মে ২০১৯ এর মধ্যে বন্ধ ঘোষনা করা হবে। কিন্তু প্রশাসনের তরফ থেকে এখনও কিছু বলা হয় নি। তাছাড়া কেউ কেউ অাবার বলছে, বন্ধ দিয়ে সকল লোক কে অাউট করে নতুন করে অাবার নিয়োগ দেওয়া হবে। কেউ বলছে, বিদেশী বায়ারের কাছে গ্রামীন নীট ওয়্যার লিঃ এর মালিকানা বিক্রয় করা হয়েছে।
কিন্তু সাধারণ শ্রমিকদের কথা, সাবেক এমডি কাজী মঞ্জুরুল ইসলাম এর দূর্নীতি ও অর্থনৈতিক অপকর্মে জন্য ৩০০০ খেটে খাওয়ার মানুষের পেটে কি ড. ইউনুস স্যার লাথি মারবেন?
নাকি বড় কর্মকর্তাদের দূর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করে ৩০০০ খেটে খাওয়া মানুষের দুবেলা অাহারের ব্যবস্থা অব্যহত রাখবেন?
এখন কেবল মাত্র সময়ই বলে দিতে পারে যে, ড. ইউনুস স্যার গ্রামীন নীট ওয়্যার লিঃ নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন!
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.