পার্পল মোড়হেন (কালিম) পালন জনিত সমস্যা ও সমাধান
★★★অনেক পাখাল ভাইয়েরা বিভিন্ন জায়গা থেকে কালিম কিনেথাকে।এক্ষেত্রে অনেকের কালিম ভাত,ঘাস,ধান যাই দেওয়াযায় তাই খায় আবার অনেকর কালিম ধান,ভাত খায়না।এক পর্যায়ে চুনা পাইখানা ও পাখির মৃত্যু। এর মূল কারন অভ্যাসের দাস।যে পাখিটি ধান,ভাত খাবে না তখন তাকে কচুরি বা ঘাস দিতে হবে।কারন এর আগে পাখিটি যার কাছে বড় হইছে উনি ছোট থাকতেই ঘাস খাইয়ে বড় করেছে যার ফলশ্রুতি উক্ত পাখিটি তার প্রধান খাদ্য ঘাস কে চিনে।
তাই যার কাছথেকেই কিনেন উনি মূলত কি খাবার বেশীদিত তা ভালো করে জিগ্যেস করেনিবেন।অন্যথায় আপনাকেই পস্তাইতে হবে কারন সবার জন্যত ঘাস বা কচুরি সংগ্রহ করা সম্ভব না।
★★★পাখির ডিমে তাপ না দেয়া বা ডিম খেয়ে ফেলা:
কালিমের প্রায় ক্ষেতরে মূলসমস্যা দেখাদেয় ডিমে তাপ দেয়না বা খেয়ে ফেলে।ছোট থেকে বড় করে তোলা পাখির ক্ষেতরেও একই সমস্যা হয়।এটা মূলত অনেক গুলো কারন থাকে যেমন:- ক্যলসিয়াম এর অভাব,নতুন পেয়ার বা প্রথম প্রথম ডিম দেওয়া,খাদ্য সমস্যা, মেল মেটিংএর জন্য পাগল হওয়া,অতিরিক্ত ব্রেড আরো অনেক কিছু যার জন্য মূল সমস্যা খুজে বের করতে হবে এবং পাখি রেষ্টে দিয়ে ব্রেড করাতে হবে।এগুলোতে যদি কাজ না হয় তাহলে উক্ত ভিডিওতে যে রকম খাচা দেখছেন ঠিক সেইরকম ছোট খাচা ব্যবহার করতে হবে যাতে জায়গার পরিমান নিতান্তই কম একটি পাখি খাচায় দাড়িয়ে থাকলে তার ভিতরে চারদিক ৪-৫আঙ্গুল জায়গা ফাকা থাকে।
ভিতরে ভিরা বানিয়ে ডিমগুলো ওখানে রেখে চারদিক কাপর পেচিয়ে একটু নিরিবিলি জায়গায় রেখে দিবেন।প্রথমে মেল বা ফিমেল কে সেই ছোট কেজএ দিবেন ৬-৭ঘন্টা পরে খাচার ভিতরে তাপ দেওয়া পাখিটিকে খাবার খাওয়ার জন্য বের করে দিবেন এবং অন্যটিকে খাচায় ঢুকিয়ে দিবেন এবং লক্ষ রাখবেন কোন পাখিটি তাপ দেয় ভালো দেয়। যেটি ভালো তাপদিবে সেটিকেই বেশীর ভাগসময় কেজ এ রাখার চেষ্টা করবেন।
এরকম ছোট খাচার উদ্দেশ্য হলো ডিমে থাকা অবস্থায় মেল ফিমেলকে মেটিংএর জন্য বাধ্য করতে পারে না,অল্প জায়গা চারদিক কাপরে ঘেরা তাই বাইরের পরিবেশে বেরহওয়ার জন্য পাখিটির আকর্ষন কম থাকে এবং লরাচড়া করতে পারে না সেই অল্প জায়গাতেই ডিম নিয়ে বসে থাকে।
এভাবেও যদি কাজ না দেয় তাহলে হয় পেয়ার পরিবর্ত অথবা আল্লাহ উপর ভরসা ছাড়া কনো উপায় নাই।
আমি সাধারনত এভাবে করে থাকি প্রায় সবগুলো কালিমের ক্ষেতরে।
★★★এক বাড়ীতে একসাথে ২জোড়া কালিম পোষা যাবে না যদি এক সাথের বাচ্চা হয় তাহলে পোষা যাবে কিন্তু আলাদা আলাদা জায়গাথেকে সংগ্রহ করা বড় পেয়ার একসাথে সাধারনত পোষা যায় না।কারন ওরা এলাকা রক্ষনাবেক্ষন করে চলে নিজ এলাকায় অন্য কোন কালিম দেখলে আর রক্ষা নেই মারামারি না করে বিশ্রাম নিবে না।তাই আলাদা কেজ ব্যবহার করুন।
★★★ব্রিডিং মুডে বা ডিমে থাকা অবস্থায় নির্দিষ্ট একজন ছাড়া কালিম এর কাছে ছোট বাচ্চা বা অন্য কারো না যাওয়াই ভালো।কারন এসময় কালিম একটু আক্রমণীয় মনোভাব থাকে বাইরের কাউকে দেখলেই তেরে আসবে। তবে সব পেয়ার নয়।তবু রিক্সের দরকার কি।বাচ্চাকাচ্চা বা অপরিচিতদের দূরে রাখবেন।তবে তা সময় ও পরিবেশের উপর নির্ভর।
★★★শরীল দেখে মেলফিমেল চেনার চেষ্টা করবেন না।হুম কালিম মেল বড় হয়, পা মোটা হয়। আর ফিলেল একটু ছোট ও পা চিকন।কিন্তু সব পাখির গ্রোথ কি আর সমান হয়?
তাই ভয়েস না শুনে মেল ফিমেল ১০০%সিউর হওয়া যায় না।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.